জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মকলেচুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে।
নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছাড়াও মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ঐ প্রধান শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া স্কুলে সম্প্রতি অফিস সহায়কসহ তিন জন কর্মচারী নিয়োগে সাকুর্লার জারি হয়। নিয়োগের আগেই আয়া পদে আবেদনকারী মোছা. মেরিনা খাতুনকে চাকরি দেওয়ার শর্তে মৌখিক চুক্তিবদ্ধ ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৩ লাখ টাকা, কর্মচারী পদে মিতুলকে নিয়োগের শর্তে ১১ লাখ টাকার মধ্যে আড়াই লাখ টাকা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী মামুনকে নিয়োগ দেওয়ার শর্তে চুক্তিবদ্ধ ৭ লাখ টাকার মধ্যে ৩ লাখ টাকা আগাম হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক মকলেচুর রহমান। তবে ঐ তিন পদে এখনো নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি।
পরিচ্ছন্নতা কর্মী মামুনসহ চাকরিপ্রত্যাশী তিন জনের কাছ থেকে আগাম টাকা গ্রহণের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তী সময়ে তা স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক। জোট সরকারের আমলে পদায়নকৃত ঐ প্রধান শিক্ষক এর আগেও অফিস সহায়ক বকুল ও পিওন পদে লিখনকে নিয়োগ দিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বোয়ালিয়া ইউপি মেম্বার ও স্কুলের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য খোকন খান জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ রয়েছে মাদক কারবারের অভিযোগ। এর আগে ১৯১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর ২৮৭ পিচ ইয়াবাসহ কুষ্টিয়া র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন প্রধান শিক্ষক মকলেচুর রহমান।
দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সর্দার মো. আবু সালেক জানান, স্কুলে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মসংক্রান্ত বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।